রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): ছাতকে মাদরাসা ছাত্রী অপহরণের ৮ দিন আটকে রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার দীর্ঘ ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। ফলে সুবিচার থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কায় ভূগছেন মামলার বাদি। জানা যায়, ২৮ জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির দশঘর গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় গোবিন্দনগর মাদরাসার আলিম ২য় বর্ষের ছাত্রীকে অপহরণ করে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামের সফিক মিয়ার দোকানে নিয়ে ঘুমের ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে ৮ দিন আটকে রেখে তার উপর পালাক্রমে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার ৮ দিন পর সিলেট কাজিরবাজার ব্রিজ থেকে ছাত্রীসহ ফোরস্ট্রোক চালককে লোকজন আটক করে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মখন মিয়ার নিকট নিয়ে সোপর্দ করা হয়। পরে আসামি পক্ষের জনৈক তাজউল্লাহ মেম্বার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে ভাইয়ের সাথে বোনকে ও তাজ উল্লাহ মেম্বারের জিম্মায় চালককে ছেড়ে দেন। এরপর ইউপি কার্যালয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যে একাধিক সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কোন সুরাহা না হওয়ায় নির্যাতিতার ভাই সুহেল আহমদ বাদি হয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-১২, তাং ১২.০২.২০১৭ ইং) দায়ের করেন। এতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সামছু মিয়া ছেলে সফিক মিয়া (২৬), খলিলুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৮) ও মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে আফজল হোসেন (২২) সহ অজ্ঞাতনামা দু’জনকে আসামি করা হয়। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শীঘ্রই মামলার চার্জশীট প্রদানের প্রস্তুতি চলছে।